দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রকাশ্য দিবালোকে এক তরুণীকে রাস্তায় আটকে অসৎ উদ্দেশ্যে টানা-হ্যাচড়াসহ শারীরিকভাবে হেনস্থার পর মোবাইল ফোন ও গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাইফুল ইসলাম রণি (২৬) নামের ওই এলাকার চিহ্নিত বখাটে পথচারী তরুণীকে শারীরিকভাবে হেনস্থার পর তার মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত যুবক অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী তরুণীর দায়েরকরা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: ইউসুফ গাজীর কন্যা মোসাঃ ছানিয়া আক্তার (২২) পায়ে হেটে পাশর্^বর্তি চরবয়রা গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। বোর্ডঅফিস ব্রিজের পশ্চিমপারের রাস্তা দিয়ে আঃ রহিম কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে পৌঁছালে ওই এলাকার সামছুল হক ওরফে দুলাল মৃধার বখাটে ছেলে সাইফুল ইসলাম রনি (২৬) তাঁর পথরোধ করে। এ সময় রনি বলে, “তুই কার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলিস? তোকে অনেক দিন খুঁজছি, আজ একা পেয়েছি।” এরপর তাঁর হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বোরকা ও হিজাব ধরে টানাহেঁচড়া করে গলায় থাকা সাত আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে ছানিয়া আক্তার থানায় গিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি আরও দাবি করেন, রনি এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের একজন সদস্য, তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে আরও নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম রনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, “ছানিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মোবাইলটিও নাকি তিনি কিনে দিয়েছিল। মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে কথা বলছিল জানতে চাওয়ায় ডাকচিৎকার দিয়ে উত্যক্ত ও ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছে।” তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “ছানিয়া প্রতারক, সে বিভিন্ন ছেলেকে টার্গেট করে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে নেয়।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”