Saturday, July 12, 2025
spot_img
Homeঝালকাঠিরাজাপুরের বাউল শিল্পী ছালমা বেগমের জীবনের অজানা কিছু কথা

রাজাপুরের বাউল শিল্পী ছালমা বেগমের জীবনের অজানা কিছু কথা

মিঠুন চক্রবর্তী. রাজাপুর প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুর বড়ইয়া ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ছালমা বেগম। শৈশব-কৈশোর বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে এলাকার নিজ বাড়িতে। তার জীবনে লেখাপড়ার দৌড় তেমন না হলেও গানকে সঙ্গী করেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তিনি। কোনো বাধা-প্রতিবন্ধকতাই দমিয়ে রাখতে পারেনি গান পাগল ছালমার স্বপ্নকে।

গান’কে ভালবেসে গেল ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ এর ফাইনাল অডিশনে পল্লী গীতির তালিকাভুক্ত নিয়মিত শিল্পী হয়েছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে এবং বাউল গানের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী হয়েছেন বাংলাদেশ বেতারের।

জানা গেছে, উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কৃষক মরহুম ইয়াকুব আলীর ২য় মেয়ে এবং ৯নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় সমাজকর্মী ও সাংবাদিক আলমগীর শরিফের স্ত্রী এবং ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য। ছালমা বেগম ইউপি সদস্য হিসেবেও এলাকায় বেশ সুনাম বা জনপ্রিয়তা রয়েছে। মানব সেবার পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের মত জায়গায় শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও বাউল ছালমা নামে যেমন পরিচিতি পেয়েছেন তেমনই সামাজিক বিভিন্ন ভালো কর্মকান্ডের কারনেও আলোচিত হয়েছেন তিনি। অদম্য মনোবল নিয়ে এগিয়ে চলার কারনে রাজাপুর উপজেলা ও ঝালকাঠি জেলায় নির্বাচিত হয়েছেন শ্রেষ্ঠ জয়ীতা হিসেবে। ২০২৩ সালে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক এর সম্মাননা স্মারক। গান গেয়ে তিনি অর্জন করেছেন একাধিক সনদ ও সম্মাননা স্মারক।

এর পাশাপাশি ছালমা বেগম নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে সেলাই কাজ, কৃষি কাজ, হাস মুরগী ও গবাদিপশু পালন, মাছ চাষ সহ একাধিক প্রশিক্ষণের সনদ আছে তার দক্ষতার ঝুলিতে।

ছালমা বেগম দৈনিক সংবাদ সকালের প্রতিবেদককে জানান, স্কুলে ৪র্থ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় গানের প্রতি তার টান এবং ভালোবাসা দেখে স্থানীয় সংগীত শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক তাকে গান শেখানোর দায়িত্ব নেন। ছোটবেলা থেকেই সংগীত প্রেমী হওয়ায় নিজেই অর্ধশতাধিক গান রচনা, সুর দেওয়া ও সংগীত পরিবেশন করে সুনাম অর্জন করেন। বিশেষ করে ২০০৮ সাল থেকে সংগীতে তাকে সহযোগীতা করেছেন রাজাপুর সদরের মাঈনুল হোসেন মৃধা, বরিশালের সংগীত পরিচালক ঈমন খান, রাজাপুরের আসলাম হোসেন মৃধা ও সিরাজুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, তাঁর স্বামীর ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় আজকে তিনি এ পর্যন্ত এসেছেন এবং সকল ভালো কর্মে তাকে উৎসাহিত করেছে জেলা উপজেলার সাংবাদিকসহ সকল পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা। ফলে আজ তিনি সবার কাছে বাউল ছালমা হিসেবে পরিচিত।

উল্লেখ্য, জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমন্ত্রিত হয়ে দেশাত্মবোধক, বাউল, পল্লীগীতি, লোকগীতি, ভাওয়াইয়া, ছায়াছবি ও ফোক গান গেয়ে থাকেন ছালমা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments